বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৩৬ পূর্বাহ্ন
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওপর হামলার ঘটনায় সন্দেহভাজন আটক করা হয় -২
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউওনও) ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলী শেখের ওপর হামলার ঘটনায় সন্দেহভাজন যে দুজনকে আটক করা হয়েছে, তারা যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আটককৃতরা হলেন- ঘোড়াঘাট উপজেলার রানীগঞ্জ কষিগারি এলাকার আবুল কালামের ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন (৪২)। অন্যজন একই উপজেলার ওসমানপুর সাগরপাড়া এলাকার আমজাদ হোসেনের ছেলে আসাদুল ইসলাম (৪০)। জাহাঙ্গীর ২০১৭ সাল থেকে ঘোড়াঘাট উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করছেন। আর আসাদুল যুবলীগের কর্মী বলে জানা গেছে। দিনাজপুর-৬ আসনের আওয়ামী লীগের এমপি শিবলী সাদিক যুগান্তরকে বলেন, ‘জাহাঙ্গীর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত থাকায় আড়াই মাস আগে জেলা যুবলীগ কমিটির কাছে লিখিতভাবে তাকে বহিষ্কারের জন্য বলেছিলাম। কিন্তু আমার বোধগম্য নয়, কেন আজও তাকে বহিষ্কার করা হয়নি’। জাহাঙ্গীরসহ আরও ৫-৬ জনের একটি দল উপজেলার বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে জড়িত বলেও জানান এই সংসদ সদস্য। ঘোড়াঘাট থানার ওসি আমিরুল ইসলাম বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বিরামপুর, হাকিমপুর ও ঘোড়াঘাট থানার পুলিশের একটি দল শুক্রবার ভোরে হাকিমপুর উপজেলার কালিগঞ্জ এলাকায় বোনের বাসা থেকে আটক করে আসাদুলকে। আর দিনাজপুরের র্যাবের সদস্যরা জাহাঙ্গীর হোসেনকে তার নিজ বাসা থেকে আটক করেন। তিনি বলেন, আটক দুজনকে রংপুর র্যাব কার্যালয়ে নেয়া হয়েছে। সেখানে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বুধবার দিনগত রাত ৩টার দিকে উপজেলা পরিষদ ক্যাম্পাসে অবস্থিত ইউএনওর বাসভবনের টয়লেটের ভেল্টিলেটর ভেঙে দুর্বৃত্তরা প্রবেশ করে। ইউএনও টের পেলে দুর্বৃত্তরা তাকে সরাসরি ধারাল অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করে। এ সময় তার বাবা এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা তাকেও আঘাত করে পালিয়ে যায়। রাতেই রক্তাক্ত ইউএনওকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সেখান থেকে রাজধানীর ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটালে ভর্তি করা হয়। ইউএনও ওয়াহিদা খানমের অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালটির হাসপাতালটির চিকিৎসকরা।